গৃহপালিত পাখির খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও কাজ

দেহের বৃদ্ধি, ভরণপোষণ ও উৎপাদনের জন্য খাদ্য গ্রহণ করা আবশ্যক। দানা শস্য ও এদের উপজাতসমূহ গৃহপালিত পাখির খাদ্য খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। হাঁস-মুরগির খামার পরিচালনায় যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তার ৭০ ভাগই খরচ হয় খাদ্য ক্রয় খাতে।

নিম্নে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো।

» দানাশস্য ও এদের উপজাতসমূহ তাজা ও মানসম্মত হতে হবে।
» খাদ্যে পাখির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকবে।
» খাদ্য জীবাণু, ছত্রাক ও পরজীবী মুক্ত হতে হবে।
» অনেক উপকরণ ব্যবহার করে খাদ্য প্রস্তুত করতে হবে।
» খাদ্য হজমযোগ্য ও সহজপাচ্য হবে।
» খাদ্য খুব সুস্বাদু হতে হবে।
» খাদ্যের উৎপাদন খরচ কম হতে হবে।
» খাদ্যকে যে কোনো প্রকার দুর্গন্ধমুক্ত হতে হবে।
» খাদ্য উপকরণ সহজলভ্য হতে হবে।

বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ মিশ্রিত করে পাখির রেশন তৈরি করা হয়। রেশন হচ্ছে ২৪ ঘণ্টায় কোনো পশু বা পাখি দ্বারা গৃহীত খাদ্য। রেশন অবশ্যই পুষ্টি উপাদানে সুষম হতে হবে। যে রেশনে পাখির প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি, খনিজ লবণ ও ভিটামিন উপস্থিত থাকে তাকে সুষম রেশন বলে।

সুষম খাদ্য বা রেশনের কাজ নিম্নে দেওয়া হলো।

» খাদ্য বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
» খাদ্য শরীরে শক্তি যোগায়।
» খাদ্য দেহের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
» দেহের হাড় গঠনে সাহায্য করে।
» দেহ কোষের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে।
» দেহের পানির সমতা রক্ষা করে।
» দেহে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
» দেহের রোগ প্রতিরোধ করে।
» ডিম ও মাংস উৎপাদনে সাহায্য করে।

Share this entry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *